দক্ষিণাঞ্চলে আট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
পূর্ণিমা ও উজানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের আটটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরাল ও কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল রোববার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রোববারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আটটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার ওপরে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার ওপরে, বরিশাল হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ছয় সেন্টিমিটার ওপরে, পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে, উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক নয় সেন্টিমিটার ওপরে এবং পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়ার লোহালিয়া, ভোলা খেয়া ঘাটে তেঁতুলিয়া, গৌরনদীর টরকি, বাবুগঞ্জ, মির্জাগঞ্জে বুড়িশ্বর, আমতলীর বুড়িশ্বর ও স্বরূপকাঠি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ণিমা ও উজানের কারণে আটটি নদীর পানি বাড়লেও দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা নেই। নদ-নদীর যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি।’