১৭ দিন পর ফের অস্ত্রোপচার, সংকটাপন্ন মা

Looks like you've blocked notifications!
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সংকটাপন্ন প্রসূতি মা। ছবি : এনটিভি

অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব করেন প্রসূতি মা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ১৭ দিন পর দ্বিতীয় দফায় চলে অস্ত্রোপচার। যদিও এবার বানারীপাড়ার বেসরকারি হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নয়, ২৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। সংকট কাটেনি ওই প্রসূতি মায়ের। আর দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন তার স্বজনরা। 

ঘটনার শিকার প্রসূতির বোন  দাবি, সন্তান প্রসবের সময় অস্ত্রপচারে পেটে থেকে গিয়েছিল গজ কাপড়, দ্বিতীয়বারে তা বের করা হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত হতে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়। হাসপাতালের পক্ষে থেকে দ্বিতীয় বার অস্ত্রপচারের তথ্য জানানো হয়েছে। তবে, গজ কাপড় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

চিকিৎসাধীন শিল্পী আক্তারের বোন ইসরাত জাহান বলেন, ‘বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করানো হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের পর তার মেয়ে সন্তান হয়। এরপর টানা চার দিন প্রস্রাব পায়খানা বন্ধ ছিল। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করান, কিন্তু আমাদের কিছুই জানায়নি। আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই।’ তার দাবি, সেখানের চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, তার বোনের পেটে গজ কাপড় রেখে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এরপর তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় নিতে বলেন।’

ইসরাত জাহান আরও বলেন, ‘ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের মাধ্যমে ২৯ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতালেই অস্ত্রপচার করাই।’ ইসরাতের দাবি, ‘তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অস্ত্রোপচার করে বোনের পেট থেকে দুই হাত লম্বা গজ কাপড় বের করা হয়।’

এ ব্যাপারে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই নামে একজন রোগীর অস্ত্রোপচার এখানে হয়েছে। যত দূর শুনেছি তিনি প্রসব পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন।’

অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পণ বলেন, ‘আমি বানারীপাড়াতে নেই। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব, আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।’