দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সিঙ্গাপুরে আজ বৃহস্পতিবার এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংক আয়োজিত কোর ভ্যাকসিন সেমিনারে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি : এনটিভি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের টিকাদানের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে আমাদের দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একডোজ করে করোনার টিকা নিয়েছেন। এছাড়া দুই ডোজ করে করোনার টিকা নিয়েছে ৮৮.৬১ শতাংশ মানুষ। আমরা একদিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে করোনার টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করি।

সিঙ্গাপুরে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংক আয়োজিত কোর ভ্যাকসিন সেমিনারে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই জায়গা থেকে প্রতিরোধযোগ্য ১০টি রোগের বিরুদ্ধে ৯৭ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। যা স্বাস্থ্যসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি আমরা এইচপিভি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে জরায়ুমুখের ক্যানসারের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে নারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ধারাবাহিক উন্নতির ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ ও ২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী সরকারি এবং বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন সংস্থা (গেভি) আমাদের স্বীকৃতি প্রদান করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই অ্যালাইন্স থেকে ভ্যাকসিন হিরো উপাধি দেওয়া হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মানকে উন্নতির দিকে নির্দেশ করে। এছাড়া আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা মহামারি মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মপ্রচেষ্টার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, এডিবি ও গেভি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির শুরুর ছয় মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ তিন কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে। এছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা থেকে বাংলাদেশকে ৮০ লাখ টিকা প্রদান করা হয়।