গম চাষে গোপালগঞ্জে তিন হাজার কৃষক পাচ্ছেন প্রণোদনা

Looks like you've blocked notifications!
গমের ক্ষেত। বাসসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি

গোপালগঞ্জে গমে বিনামূল্যে প্রণোদনার সার-বীজ পাচ্ছেন তিন হাজার কৃষক। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আসন্ন রবি মৌসুমে  প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার পাঁচ উপজেলার  তিন হাজার কৃষক সার-বীজ পাবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আ. কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

আ. কাদের সরদার বলেন, ‘গম আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৫০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ৮০০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ৬০০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪৫০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪০০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।’

গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক জানান,  প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা করে (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।  সেজন্য ৬০ হাজার কেজি বীজ, ৩০ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৩০ হাজার কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরাদ্দের চিঠি এসেছে।

আ. কাদের সরদার আরও জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৫ হাজার কেজি বীজ, সাত হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার ও সাত হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ১৬ হাজার কেজি বীজ, আট হাজার কেজি ডিএপি সার ও আট হাজার কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১২ হাজার কেজি বীজ, ছয় হাজার কেজি ডিএপি সার ও ছয় হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় নয় হাজার কেজি গম বীজ, চার হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার ও চরা হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সারের সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। টুঙ্গিপাড়ায় আট হাজার কেজি বীজ, চার হাজার কেজি ডিএপি সার ও চার হাজার কেজি এমওপি সার পাবেন কৃষক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ‘প্রণোদনার সার-বীজ পেয়ে কৃষক তিন হাজার বিঘা জমিতে গমের আবাদ করবেন।  তিন হাজার বিঘা জমিতে গমের আবাদ করে কৃষক গমের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এর মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’