ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ভাড়ার যে প্রস্তাব দিল রেলওয়ে

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুর থেকে স্পেশাল ট্রায়াল ৬ সেপ্টেম্বর ট্রেন ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ফাইল ছবি এনটিভির

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এই পথে আন্তনগর ট্রেনের ভাড়া প্রস্তাব করেছে রেলওয়ের কমিটি। রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবটি বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রস্তাবিত ভাড়াই অনুমোদিত হতে পারে।

কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, নন-এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৩৫০ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৭৫৯ টাকা ও এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৬৬৭ টাকা হতে পারে।

জানা গেছে, ভাড়া প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে প্রতিটি গন্তব্যের দৃশ্যমান দূরত্বের সঙ্গে পদ্মা সেতু ও গেন্ডারিয়া-কেরাণীগঞ্জ পর্যন্ত উড়াল রেলপথের জন্য বাড়তি দূরত্ব যোগ করেছে প্রস্তাব কমিটি। প্রস্তাব অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার, গেন্ডারিয়া থেকে কেরাণীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসেবে ধরা হয়েছে। বিষয়টিকে রেলওয়ে পন্টেজ চার্জের জন্য বাড়তি দূরত্ব বলছে।

এ জন্যই ঢাকা থেকে ভাঙ্গার প্রকৃত দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার হলেও রেলওয়ে দেখিয়েছে ৩৫৩ কিলোমিটার দূরত্ব। ফলে আনুপাতিক হারে বেড়ে গেছে ওই পথের ভাড়াও।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন করা হবে। এর মধ্যে ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে কেরাণীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার রেললাইন উড়ালপথে। 

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই পথে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। সেগুলোর ভাড়া অনেক কম হবে। আন্তনগর ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বেশিই। তবে, যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভাড়া কমে যাবে।’

যেভাবে ভাড়া নির্ধারিত হবে

বর্তমানে রেলে কিলোমিটার প্রতি এসি শ্রেণির ভিত্তি ভাড়া এক টাকা ৯৫ পয়সা। নন-এসি শ্রেণির ভাড়া এক টাকা ১৭ পয়সা। দেশে বর্তমানে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তনগর এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভাড়াহার কিছুটা কম-বেশি আছে।

লোকাল ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা। আন্তনগরে তা ৩৫ টাকা। তবে, সেতু ও উড়ালপথ থাকলে সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়ে।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, এখন ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে খুলনা রুটের ট্রেনগুলো চলাচল করে। এই রুটের ট্রেনগুলোকে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। কিন্তু, পদ্মা সেতু হয়ে চললে ঘুরতে হবে কম। ফলে, যশোর ও খুলনার যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে সময় কম লাগবে, ভাড়াও বাড়বে না। তবে মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ বা নড়াইল যেতে হলে বেশি ভাড়া গুনতে হবে। একইভাবে মালামাল পরিবহণের ভাড়াও বাড়বে।