আদালতে কাঁদতে কাঁদতে এ্যানি বললেন, আমি কি চোর না ডাকাত?
পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ধানমণ্ডি মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে এ্যানি কিছু বলবে কি না বিচারক তা জানতে চান। এ সময় বিচারকের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু, আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি। আমি কি চোর, না ডাকাত।’
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ধানমণ্ডি থেকে এ্যানিকে আটক করে পুলিশ।
বিএনপির প্রচার সম্পাদকের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মোট দুটি ওয়ারেন্ট আছে লক্ষ্মীপুর থানায়। জেলা পুলিশের রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ধানমণ্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশকে আঘাতের মামলায়ও তিনি এফআইআরভুক্ত আসামি। দুটি ঘটনায় ধানমণ্ডি থানা পুলিশ তাকে ধরে আনে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৩ মে ধানমণ্ডি সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী পদযাত্রা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহণ ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে মামলা করে।