রামদা নিয়ে ইউপি সদস্যকে চেয়ারম্যানের ধাওয়া

Looks like you've blocked notifications!
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ীর কাণ্ড। ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ী তারই সহকর্মী এক ইউপি সদস্যকে রামদা (ধারালো অস্ত্র) নিয়ে ধাওয়া করেছেন। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকের এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ী একটি ধারালো রামদা হাতে নিয়ে ইউপি সদস্য বাচ্চু দেওয়ানকে খুঁজতে থাকেন। বাচ্চু দেওয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। একপর্যায় ইউপি সদস্য সামনে পড়লে রামদা উঁচিয়ে চেয়ারম্যান তাকে কোপ দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিহত করেন। অল্প সময়ের মধ্যে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ইউপি সদস্য বাচ্চু দেওয়ান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের দেওয়া কোপ লাগলে আমি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যেতাম। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমিসহ পরিষদের ১০ সদস্য লিখিত আকারে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও মেহেন্দিগঞ্জের ইউএনও বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি। শনিবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে সব সদস্যরা মিলে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। এটা টের পেয়ে চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে হত্যার জন্য কোপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।’

অপর ইউপি সদস্য শহীদ দেওয়ান বলেন, ‘চেয়ারম্যান পরিষদে বসে মদ ও গাঁজা সেবন করেন। পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করছেন। এ ছাড়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকার মসজিদের ইমাম ও শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে বহিষ্কৃতও হয়েছিলেন তিনি।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা রাঢ়ী বলেন, ‘ইউপি সদস্য বাচ্চু দেওয়ানসহ কয়েকজন সদস্য আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিষদের সব সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া এবং কোপানোর চেষ্টার ঘটনায় জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম (ওসি) বলেন, ‘এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সার্বিক বিষয়টি পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। যিনিই অভিযুক্ত হবেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’