শ্বশুরবাড়ির অশান্তি কেড়ে নিল শিশুর জীবন
শ্বশুরবাড়িতে অশান্তিতে কাটছিল রুনার। যত্ন নিতে পারছিলেন না চার মাসের শিশু হাজেরার। এরইমধ্যে প্রায়ই কটুকথা শুনতে হতো শাশুড়ি-নদদের। যার বলি হলো শিশুটি। পুকুরে ফেলে এলে মৃত্যু হয় তার। যার মরদেহ মিলেছে গতকাল শনিবার (২১ অক্টোবর)।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, রুনা তার দোষ স্বীকার করেছেন। মেয়েকে হত্যার দায়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
নিহত চার মাস বয়সী শিশু হাজেরা নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের প্রবাসী অলিউল্লার মেয়ে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম আজ রোববার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পরই পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নিহত শিশুর মা রুমা বেগমকে সন্দেহ হচ্ছিল। তাই আমরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে রুমা তার সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘রুমার স্বামী দেড় বছর আগে কাজের উদ্দেশে দুবাই গেছেন। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় কন্যার বয়স ছয় বছর ও ছোট মেয়ের বয়স চার মাস। যৌথ পরিবারের সব কাজ রুমাকেই করতে হতো। সংসারের কাজ নিয়ে শাশুড়ি ও ননদের অনেক কথাও শুনতে হয় তাকে। এ জন্য সঠিকভাবে হাজেরার যত্নও নিতে পারছিলেন না।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রুনা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এরই জেরে শুক্রবার মধ্যরাতে সে তার শিশু সন্তান হাজেরাকে বাড়ির কাছাকাছি একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে আসেন। পুকুরে ডুবেই ওই শিশু মারা যায়।’
এ ঘটনায় নিহতের চাচা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রুনাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।’