জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশও ২৮ অক্টোবর
রাজধানী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশটি করবে তারা। আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। একই দিন নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। আর বায়তুল মোকাররমের দুই নম্বর গেইটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগও।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় মুজিবুর রহমান বলেন, ‘২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকে তারা জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার উদ্দেশে সাজানো, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করে। দেশ আজ রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য। সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা যেন কথা বলতে না পারে সেজন্য মামলা দিয়ে বিরোধীদলকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলের নেতাকর্মীগণ যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেজন্য গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ বছর বর্তমান সরকার দেশে হত্যা, নৈরাজ্য, গুম, খুন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ একটি গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, ভোটাধিকারবিহীন, গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
মহাসমাবেশে সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণদের মহাসমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ। পাশাপাশি সরকারের কোনো ধরনের উসকানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্র বিরোধী অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।