আহত শিশু রবিউল তিন দিন পর স্বজনদের কাছে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শিশু রবিউল (১০) তিন দিন পর স্বজনদের কাছে ফিরল। আজ বৃহস্পতিবার ২৬ (অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাবা মিলন মিয়ার তাকে তুলে দেয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, শিশু রবিউল ইসলাম ঢাকার শাহআলী থানা (মিরপুর-১) এলাকার মো. মিলন মিয়ার ছেলে। তার বাবা সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাবুর্চির কাজ করেন। দুই বছর আগে তার মা মারা যান। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে মেজো।
রবিউলসহ চার বন্ধু গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেটে যাওয়ার উদ্দেশে ভুলে এগারসিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনের ছাদে উঠে। পরে ট্রেনটি যখন কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছায় তখনই আবার সেই ট্রেনে করেই তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু ভৈরব স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে মালবাহি ট্রেনের ধাক্কায় এগারসিন্ধুর ট্রেনটির পিছনের দুটি বগি মারাত্মকভাবে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা শিশু রবিউল ইসলামসহ শতাধিক আহতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর তার কোনো স্বজনের খোঁজ মিলেনি। তারপর উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশের পর গতকাল বুধবার রাতে আহত রবিউলের বাবার খোঁজ মিলে।
আহত শিশু রবিউলের বাবা মিলন মিয়া বলেন, ‘২২ তারিখ দুপুরে বাসায় তাকে গোসল করিয়ে রেখে আমি বাইরে যাই। রাতে বাসায় ফিরে শুনি আমার ছেলে বাসায় ফিরেনি। তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু সন্ধান পাইনি।’
মিলন মিয়া আরও বলেন, ‘গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শাহ আলী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বাসায় গিয়ে জানান আমার ছেলে ভৈরবের ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎনাধীন রয়েছে। সে খবর পেয়ে ভৈরবে ছুটে আসি।’
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘মিরপুরের শাহ আলী থানার পুলিশের মাধ্যমে জেনে আহত রবিউলের বাবা মিলন মিয়া তার ছেলের সন্ধানে ভৈরবে ছুটে আসেন। আমরা মিলন মিয়ার দাবি যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেয়ে তার হাতে রবিউলকে তুলে দিয়েছি।’