আগুন সন্ত্রাসীদের রেহাই দেওয়া হবে না : হানিফ

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আজ রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশ হত্যা করেছে। পুলিশ ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণের পর সমাবেশ পণ্ড হওয়ায় তারা হরতাল দিচ্ছে। নিজেরা অপকর্ম করে তার দায় অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এবার আর রক্ষা হবে না। অপকর্মের দায় মির্জা ফখরুল সাহেবদের বহন করতে। আগুন সন্ত্রাসীদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি দেশে ও বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত। আমরা বার বার বলেছি, এদের চরিত্র কখনওই পাল্টায় না। গতকালকের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তাদের স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে। আবারেও প্রমাণ হয়েছে, তারা উন্নয়ন চায় না। দেশ ধ্বংস করতে চায়।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখনই আন্দোলনে নামে তখনি দেখা যায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে। তারা এদেশকে ধ্বংস করতে চায়। দেশের প্রশাসন যন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। গতকালকে আবার আমরা দেখলাম, পুলিশ সদস্যকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের ধিক্কার জানাই। এসব ঘটনা আমাদেরকে একাত্তরের কথা মনে করিয়ে দেয়।’

সুশীল সমাজের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের এই অপকর্মের পরও কিছু সুশীল টেলিভিশনে বসে তাদের পক্ষে সাফাই গান। এরা কারা? এরা তথাকথিত সুশীল সমাজের নামে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই দালালদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এরা সুশীলের নামে বসে দেশের ও সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা বলে দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত করতে চায়। এদেরকেও আইনের মুখোমুখি করতে হবে।’