হরতালে পুলিশের ওপর হামলা

জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ অর্ধশতাধিক আসামি, গ্রেপ্তার ১০

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ি সদর থানা। ফাইল ছবি

হরতাল চলাকালে খাগড়াছড়িতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। ওই মালায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছারকে আসামি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভির হাসান জানান, মালায় ৪৪ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।

গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে খাগড়াছড়ি শহরের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় পুলিশ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাদাওয়া হয়। পরে পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

অপর দিকে মাটিরাঙা ও মানিকছড়িতে শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করে আরও দুটি পৃথক মামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রাতে গায়েবি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার।

গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীরা হচ্ছেন জেলার মাটিরাঙা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন, মাটিরাঙা উপজেলা বিএনপির সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. নওশাদ হোসেন, রামগড় পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুর রহমান, রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাহার মিয়া, রামগড় সদর ইউনিয়নের সদস্য কাজী ইব্রাহিম, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রমজান আলী, লক্ষ্মীছড়ি সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি মো.আব্দুল কাদের, মানিকছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য মো. শাহজাহান, পানছড়ি উপজেলা যুবদলের সদস্য জব্বার আলী ও পানছড়ির তিন ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হারিছ মিয়া।