অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের ছেলের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদী থেকে বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের ছেলে এ টি এম খালেকুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাতিরহাট এলাকা সংলগ্ন নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।
প্রথমে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে ধারণা করা হয় এটি এ টি এম খালেকুজ্জামানের। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, খুলনায় এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ২৪ অক্টোবর ঢাকার বাসা থেকে এ টি এম খালেকুজ্জামান বের হন। ২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মোবাইল ফোনে কল দিলে বিপরীত দিক থেকে লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই খালেকুজ্জামানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
নাজিরপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ টি এম খালেকুজ্জামান নামে যে ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম এ টি এম শামসুজ্জামান লেখা রয়েছে। তার পরও আমরা বলছি না নিশ্চিত করে, যতক্ষণ না তাঁর স্বজনরা এসে স্বচক্ষে দেখে সরদেহ শনাক্ত করেন।’
ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, খালেকুজ্জামানের বয়স ৪৬। তিনি ঢাকার সূত্রাপুর থানার ধীরেন্দ্রনাথ লেন এলাকায় বসবাস করতেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে নাজিরপুর নৌপুলিশ ও থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি সূত্রাপুর থানায় জানালে তারা তাঁর স্বজনদের জানিয়েছে। পরিবারের লোকজন এখনও এসে পৌঁছেনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শের-ই-বাংলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।