বিনা পরোয়ানায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের অভিযোগ বিএনপির

Looks like you've blocked notifications!

সিরাজগঞ্জ জেলা ড্যাবের সদস্য সচিব ডা. আতিকুল আলম ও এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্র, জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক ডা. এম এ আজিজকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। 

বুধবার (১ নভেম্বর) দিনগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।

বিবৃতিতে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চার দিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যখন জনতার প্রতিবাদ তুঙ্গে, ফ্যাসিবাদের মসনদ যখন নড়বড়ে, ঠিক তখনই হিংস্রতার এক ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে এই অবৈধ সরকার ও তার কুশীলবরা। রাজপথে নৃশংসতার পাশাপাশি বিরোধীমতকে নজিরবিহীন দমনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তারা। এরই ফলশ্রুতিতে চিকিৎসকদের কর্মস্থল ও বাসা থেকে তুলে নেওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও সিরাজগঞ্জ জেলা ড্যাবের সদস্য সচিব ডা. আতিকুল আলমকে সিরাজগঞ্জ, কাজীপুরে তার নিজ বাসা থেকে এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩৩তম ব্যাচের সাবেক ছাত্র, চিকিৎসক ডা. এম এ আজিজকে মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে তার পেশাগত চেম্বার থেকে বিনা অভিযোগ ও পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে গায়েবি মামলার আসামি করেছে পুলিশ। অতীতেও বিভিন্ন সময় স্বৈরাচারী সরকারগুলো চিকিৎসার ন্যায় মহৎ পেশার ওপর নির্যাতন করেছে, যার ফলাফল কোনোদিন ভালো হয়নি।’

বিবৃতিতে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ’৯০-এর গণ-আন্দোলন বেগবান হয়েছিল শহীদ ডা. মিলনের আত্মাহুতি দেওয়ার মাধ্যমে। সুতরাং, এ রকম গেস্টাপো বাহিনী দিয়ে নিপীড়ন এই সরকারের পতন আরও বেগবান করবে। অতীতেও এই সরকার ও তার  কুশীলবরা বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসকদের ওপর নানা রকম নির্যাতন করে আসছে। এমনকি, লক্ষ্মীপুরে শুধু রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় ডা. ফয়েজ আহমেদকে মাথায় গুলি করে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে ২০১৩ সালে।’

বিবৃতিতে শুধু রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় দুজন চিকিৎসককে নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের জন্য চরম উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে এই চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি এবং তাদের নামে কোনো ধরনের মিথ্যা মামলা না দেওয়ারও দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।