ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ঘটনায় তিনজন খুন

Looks like you've blocked notifications!
জেলা ম্যাপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তিনজনকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বিভিন্ন সময়ে সদর, বিজয়নগর ও সরাইল উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতেরা হলেন- সদর উপজেলার ছয়বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আলিম মিয়ার ছেলে মোবারক মিয়া, বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ও সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক লিয়াকত আলী।

শুক্রবার রাতে ছয়বাড়িয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় মোবারক মিয়ার। নিহতের বাবার অভিযোগ, ছয় মাস আগে তার ছেলের সঙ্গে একই এলাকার সফর আলীর মেয়ে তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এর জের ধরে তার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে নিহতের পরিবার থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে, বিজয়নগর উপজেলায় মেয়ের জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন শ্বশুর মো. হাফিজুর রহমান (৬৫)। উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে আজ এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নিহতের মেয়ের জামাই একই উপজেলার পেটুয়াজুড়ি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শামীম মিয়া।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতের মেয়ে নাহিদার আক্তারের (২০) সঙ্গে পারিবারিকভাবে পাশের গ্রামের অভিযুক্ত শামীম মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারণে নাহিদা সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হন শামীম। আজ সকালে শ্বশুর বাড়িতে এসে শ্বশুরকে সামনে পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় শামীম।

এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক জামাইকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।’

অন্যদিকে, সরাইলের পাকশিমুল ইউনিয়নে এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে নিহতের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। নিহত লিয়াকত আলীর স্বজনেরা জানান,  জমির ঘাস ছাগলকে খাওয়ানো কেন্দ্র করে ওই অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী রেজ্জাক মিয়া। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।