সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তার-আটক আতঙ্ক, ঘরছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির ডাকা অবরোধের সময় সতর্ক অবস্থানে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

অবরোধের প্রথম দিন থেকে গ্রেপ্তার ও আটক আতঙ্কে সুনামগঞ্জে ঘরছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। ভয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে তারা। প্রায় প্রতি রাতেই কোনো না কোনো কর্মীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। হরতাল ও অবরোধের চার দিনে জেলার বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব মামলায় ইতোমধ্যে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে, জেলার পাঁচ উপজেলায় গত চার দিনে আট মামলার তিনটিই হয়েছে সদর মডেল থানায়। এ ছাড়া শান্তিগঞ্জে দুটি এবং শাল্লা, দোয়ারাবাজার ও ধর্মপাশায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩০ থেকে ১৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক।

নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে সবগুলো মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে ঘরছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী–সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছে—জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও ধর্মপাশার সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আনছার উদ্দিন।

পুলিশের করা মামলাগুলোকে মিথ্যা দাবি করে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু বলেন, ‘যতগুলো মামলা হয়েছে সবগুলো মিথ্যা। পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলকে দমন করার উদ্দেশে মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার ভয়ে নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেন না। আমাদের ওপর যত নির্যাতন ও ধরপাকড় চালানো হবে আমরা তত শক্তিশালী হব।’ 

জেলা বিএনপির সভাপতি কলিমউদ্দিন মিলন বলেন, ‘আমার নামে কোনো মামলা হয়েছে কি না জানি না। তবে, গত বৃহস্পতিবার রাতে দুবার আমার ছাতকের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে।’ 

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এহসান শাহ্ বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের নামে মানুষের জানমালের ক্ষতি করা হয়েছে। সড়কে ওষুধের গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে তারা। এ জন্যই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া, পুলিশ বাড়তি কিছু করছে না।’