একসাথে এতো লাশ আগে দেখেনি জোয়ারাবাসী

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের ধোপপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের আহাজারী। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাতজনের মরদেহ চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুরস্থ ধোপপাড়ায় আনা হয়েছে। জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন জানান, গতকাল মঙ্গলবার নিহতদের মরদেহ নিয়ে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স হাটহাজারী থেকে সন্ধ্যা ছয়টায় চন্দনাইশের জোয়ারার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে এলাকায় পৌঁছে। একসাথে নারী-শিশুসহ সাতজনের লাশ দেখে শোকাহত হয়ে পড়ে পুরো জোয়ারার মানুষ।

আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে জোয়ারার ধোপপাড়াতে গিয়ে দেখা যায়, আশ-পাশের লোকজন মরদেহগুলো দেখতে ছুটে আসছেন। স্বজনরা এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। এক দুর্ঘটনায় একসাথে পরিবারের সাত সদস্য নিহতের ঘটনা পুরো চন্দনাইশ উপজেলায় আর ঘটেনি বলে জানান জোয়ারার চেয়ারম্যান আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন। তিনি বলেন, ‘স্বজনহারা মানুষগুলোকে স্বান্তনা দেওয়া অনেক কঠিন। আমরা নিহতদের মরদেহ সৎকারে সহায়তা করছি।’

গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে বারোটার দিকে শহর থেকে ফটিকছড়িগামী একটি সিএনজি অটোরিকশা ও ফটিকছড়ি থেকে চট্টগ্রামগামী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের সাতজন নিহত ও দুইজন আহত হয়। নিহতরা হলেন, বিপ্লব দাশ (২৭), বাপ্পা দাশ (৩২), রিতা রানি দাশ (৪০), শ্রাবন্তী দাশ (১৮), বর্ষা দাশ (১০), দীপ দাশ (৩) ও দিগন্ত দাশ (৩)। তারা সকলেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ধোপপাড়ার মাস্টার বাড়ির বাসিন্দা।

নিহত রিতা রানি দাশের ভাসুর বাবুল দাশের বরাত দিয়ে জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, তারা নিহত রীতা রানীর ঠাকুরমার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তারা নিহত হন।