ডাকাতি ও নারী হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জে ১২ জনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জে ডাকাতি ও নারী হত্যা মামলায় ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ রায় দেন। ১২ আসামির মধ্যে তিন আসামি কবির শেখ, তারা মিয়া শেখ ও মোলাম শেখের উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়। বাকি নয় আসামি পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে একদল (১২ থেকে ১৩ জন) স্বশস্ত্র ডাকাত গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ চণ্ডিবর্দি গ্রামের রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের বসতবাড়ির বিল্ডিংয়ের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা ইসলাম চিৎকার দেয়। এতে ডাকাত দল ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সালেহা ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় পাশের রুমে থাকা বড় মেয়ে শিফাত শারমিন শাওন (২২) বাধা দেয়। পরে ডাকাত দল শাওনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ডাকাত দল প্রথমে তিনটি মোবাইলফোন নেয়। এরপর তারা বিভিন্ন কক্ষের আলমারি ও ড্রয়ার ভেঙে কয়েক ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরের দিন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে জড়িত ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিদের মধ্যে বাবুল সরদার ও দীন ইসলাম নামের দুই ডাকাতের মৃত্যু হওয়ায় দীর্ঘ শুনানি শেষে বাকি ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মিন্টু শেখ (২৫), লিটন ওরফে আলম (৩২), টুটুল মীর (২৩), কবির শেখ (২৮), মাফুজাল বিশ্বাস ওরফে মাসুদ (৩২), কাকলী বেগম (২২), শিমু ওরফে সীমা (২৫), মো. জাহাঙ্গীর তালুকদার ওরফে বাবু তালুকদার (৩৫), রফিকুল ফকির (৩২), মজি (৩৫), তারা মিয়া শেখ ওরফে তাহের (২৮) ও মোলাম শেখ (৪০)। সাজাপ্রাপ্তদের বাড়ি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান পিটু। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান।