বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বাড়াতে রাজি বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। এএফপির ফাইল ছবি

এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড শ্রমিকদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ থেকে কেনা পোশাকের মূল্য বাড়াতে রাজি। এক হাজারের বেশি ব্র্যান্ডকে প্রতিনিধিত্বকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থা এমন তথ্য জানিয়েছে।

কাঙ্ক্ষিত মজুরির দাবিতে অক্টোবরের শেষ থেকে আন্দোলন করে আসছেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার সরকার ১২ হাজার টাকা বা ১১৩ ডলার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করলেও তাতে খুশি নন অনেক শ্রমিক৷ আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

তৈরি পোশাক মালিকেরা অভিযোগ করে আসছেন, বর্ধিত মজুরির কারণে তাদের লাভ কমে যাবে৷ উৎপাদন খরচ পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷

এমন অবস্থায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পণ্য বেশি দামে কিনবে কি না জানতে চেয়ে অ্যামেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামারের কাছে ই-মেইল পাঠায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই’৷

লামার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা এবং আমাদের সদস্যরা আগেও কয়েকবার বাজারমূল্য থেকে বেশি দামে কিনেছি, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না৷’

বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচ বছর পরপর তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়৷ তবে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে আসছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা৷ এ বিষয়ে স্টিফেন লামার বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রতিবছর ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করবেন তারা, যাতে অর্থনীতি পরিবর্তনের সঙ্গে শ্রমিকদের পরিস্থিতির অবনতি না হয়৷’

অবশ্য বাংলাদেশের কারখানার মালিকদের অভিযোগ, অন্যান্য দেশের তুলনায় তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে পোশাকের কম মূল্য পান৷ বিভিন্ন গবেষণাতেও এমন তথ্য উঠে এসেছে৷

চীনের পরে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ৷ এই খাতে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক, যাদের বেশির ভাগই নারী৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সর্বশেষ ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরও বাংলাদেশের শ্রমিকরা মজুরির দিক থেকে প্রতিযোগী অন্য দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছে৷ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাবে ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক শ্রমিকদের গড় মজুরি ২৭৫ ডলার৷ কম্বোডিয়ার শ্রমিকদের মজুরি ২৫০ ডলার৷