জোড়া খুনের মামলায় বিএনপিনেতা খোকন রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। ফাইল ছবি

নরসিংদীতে জোড়া খুনের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ মে বিকেলে জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সড়কে ঢোকার পর দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তাঁর অনুসারী আশরাফুল হক (২২)। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুরের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তাঁর স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় খোকন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। চলতি বছরের ২৭ জুলাই তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় খোকন আদালত থেকে আর স্থায়ী জামিন নেননি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর দিনগত রাত ৩টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিক খায়রুল কবির খোকনকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এই মামলায় আজ মঙ্গলবার খোকনকে আদালতে তোলা হয়। ওই সময় মামলার তদন্তকারী কর্মাকর্তা খায়রুল কবির খোকনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান। পরে আদালতের বিচারক তাঁকে ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নরসিংদী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, জোড়া হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে খায়রুল কবির খোকন ও সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেয় এবং পরে ভাঙচুর করে। এরপর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে পদ বঞ্চিত ও বহিষ্কৃত নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে বিকেলে পদবঞ্চিত নেতারা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করলে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাদিকুর রহমান ও তাঁর অনুসারী আশরাফুল হক নিহত হন।