ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ

Looks like you've blocked notifications!
শনিবার রাতে ঢাবির ভিসি চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি : এনটিভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন ভিসি চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থীর নাম মঈনুল ইসলাম। তিনি স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। মঈনুল মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপআপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে ভিসি চত্বরে ককটেল ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আশেপাশে থাকা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পরই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে এবং মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে শাহবাগ থানা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম আসে।

বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা ঢাবির এক শিক্ষক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘এইমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করেছে। তার একটি সরাসরি আমার পায়ের কাছে বিস্ফোরিত হয়েছে। বড় দুর্ঘটনার হাত রক্ষা পেয়েছি।’

এদিকে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অপরাধীদের শানক্তের দাবি জানান তারা। 

এ বিষয়ে ঢাবির সহকারী প্রক্টর ড. লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে  গিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’