এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই : জাপা মহাসচিব

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বনানীতে কার্যালয়ে আজ রোববার বক্তব্য দেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি : এনটিভি

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সব প্রস্তুতি জাপার আছে। এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। আমরা জোট, মহাজোট ইত্যাদি করতে চাই না।

আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন জাপা মহাসচিব। চুন্নু বলেন, তফসিল ঘোষণা ইসির রুটিনকাজ। এটার সঙ্গে আমাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সম্পর্ক নেই। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টা নির্ভর করে পরিবেশের ওপর।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মানুষ জিম্মি অবস্থায় আছে জানিয়ে চুন্নু আরও বলেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ চেষ্টা করছে। সব দল নির্বাচন করতে পারলে এ সমস্যা হতো না। আমরা সরকারকে বারবার বলেছি একটা পরিবেশ তৈরি করুন, আলোচনায় সবাই আসুক। কিন্তু সরকার আহ্বান করল না, যারা আন্দোলন করছে, তারাও ছাড় দিয়ে কথা বলল না।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা সরকার পদত্যাগ করে চলে যাক এটা চাই না। আবার সরকারকে বাধ্য করব, এটাও চাই না। আমরা মাঝামাঝি পথে চাই, যে সংবিধানের আলোকে একটা পথ বের করা হোক যাতে সবাই নির্বাচনে আসে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবে এ আস্থা আমাদের নেই। আস্থা পেলেই আমরা ভোটে যাব।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন আমরা দ্বিধায় আছি। নির্বাচনে যাব কি না, যাওয়া ঠিক হবে কি না, জনগণের কী অবস্থা। এ সংশয় থেকে বের হতে পারিনি। যার কারণে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে। আমরা জনগণের দাবি প্রাধান্য দিচ্ছি। সঠিকভাবে যদি ভোট হয় আমরা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। আমরা জোট, মহাজোট ইত্যাদি করতে চাই না। সঠিকভাবে ভোট হলে আমরা যদি একটি আসনও না পাই কোনো আপত্তি নেই। যে দল আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠন করবে, আমরা তাদের সহযোগিতা করব।

রওশন এরশাদ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, তিনি (রওশন) আমাদের পৃষ্ঠপোষক। কিন্তু দলীয় কোনো সিদ্ধান্তে তার এখতিয়ার নেই। উনি অসুস্থ, উনার স্বাভাবিক জ্ঞানটা নেই। উনাকে কিছু লোক বিভ্রান্ত করছে। উনি ইসিতে মহাজোটের হয়ে নির্বাচনের জন্য চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি ওনাকে ফোন দিয়েছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করেছি কেন দিয়েছেন। এটা আমি এমনি দিয়ে দিয়েছি। একটা পত্রিকায় লেখা দেখলাম রওশন ম্যাডাম চিঠিতে সই করেননি। ওনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তি স্বার্থে ওনাকে ব্যবহার করছেন।