স্কুল শিক্ষিকার বাড়ির দরজা আটকে রেখে আগুন, আহত ১

Looks like you've blocked notifications!
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিক্ষিকা শিমু আক্তারের বাড়িতে হামলার পর তার আহত মা বিউটি বেগমকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক স্কুল শিক্ষিকার বাড়ির দরজা আটকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ওই স্কুল শিক্ষিকা শিমু আক্তারের দাবি, আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিব নগর এলাকায় তার বাসায় ধরিয়ে দেওয়া এই আগুনে মা বিউটি বেগম আহত হয়েছেন। অন্য দুপক্ষের জমির বিরোধের জেরে তার বাসায় এই হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষিকা শিমু আক্তার অভিযোগ করেন, সকালে ভক্তবাড়ী এলাকায় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজের সঙ্গে স্থানীয় জাহের আলীর জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে হাবিবুর রহমান হারেজ ও জাহেরের ছেলে মতিন আহত হয়। জাহেরের ভাতিজা আনিছের সঙ্গে শিক্ষিকা শিমুর ভাই বেলায়েত হোসেনের সুসম্পর্ক থাকায় ক্ষিপ্ত হন হারেজের ছেলে জুয়েল। তার নেতৃত্বে আজ বিকেল ৩টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় শিমু ১২ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন।

হামলাকারীরা বাড়িতে ভাঙচুরের পর দরজা আটকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে শিক্ষিকা শিমুর মা বিউটি বেগম আহত হন। ঘরের ভেতর থাকা ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। 

আহত বিউটি আক্তারকে প্রথমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। 

শিমু আক্তার জানান, আহত মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে বলে এখনও অভিযোগ বা মামলা করেননি। তবে, তিনি মামলা করবেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে হাবিবুর রহমান হারেজ ও তার ছেলে জুয়েলের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। খুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর আসেনি। জানা গেছে, তারা হামলা ও আগুনের ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন।

এদিকে হারেজের প্রতিপক্ষ জাহেরের ভাতিজা আনিছের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেলায়েত আমার বন্ধু। তিনি ঝগড়ায় জড়িত না। আমার সঙ্গে চলাফেরা করে বলে ক্ষিপ্ত হয়ে হারেজের ছেলে তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে তার মাকে দগ্ধ করেছে।।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে হামলা ও আগুনে দগ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’