বিএনপিনেতা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীরের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাঁকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া রুল শুনানির জন্য আগামী ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবীরা জানান, গত ১২ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে এক মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। গত ১২ অক্টোবর আপিল বিভাগের আদেশের পর দিনাজপুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। তখন এক লাখ টাকা জরিমানাও পরিশোধ করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ৩১ অক্টোবর তাঁকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মেয়র জাহাঙ্গীর এক মাস সাজাখেটে কারগার থেকে বের হন। গতকাল সোমবার তিনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

এর আগে, গত ২৪ আগস্ট একই ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ওই ঘটনায় তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না দিয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

তার আগে গত ১৭ আগস্ট মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আপিল বিভাগে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন সর্বোচ্চ আদালত। এ ছাড়া বিচারপতিকে নিয়ে তাঁর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বলা হয়।

মেয়র জাহাঙ্গীরের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে এনে আদালত অবমাননার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য শফিক রায়হান শাওন, মাহফুজুর রহমান রোমানসহ চার আইনজীবী।