সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় : ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, “আজ বাংলাদেশের রাজনীতির এই সঙ্গীন মুহূর্তে একের পর এক নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে একদলীয় সরকার। একদিকে বিএনপির মহাসচিবের বেইল পিটিশন বারবার গড়িমসির পরে আজও আবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর অর্ধ হচ্ছে, আওয়ামী সরকার সংঘাতের রাজনীতি ব্যতিরেকে কোন রকম শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। যেনতেন প্রকারে নির্বাচনের নাটক করে একদলীয় শাসন ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়াই তাদের একমাত্র অভীষ্ট।”
আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
যুগপৎ আন্দোলন ত্যাগ করে কতিপয় রাজনীতিকের সরকারি আওয়ামী জোটে যোগদান এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে যোগদানের প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, “এ ঘটনায় এদেশের রাজনীতির পুরোনো একটি কথা মনে পড়ছে। ‘জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো ইজ এ বিগার জিরো’। আওয়ামী লীগের বেলায়ও আজ আবার নতুন করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে। ‘হর্স ট্রেডিং’ করে বিভিন্ন দলের নাম জানা-না জানা নেতাদের ভুয়া নির্বাচনের সার্কাসে যোগদান করানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করেছে।”
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, “শুধু তাই নয়, এটা এখন একদম স্পষ্ট যে- সুষ্ঠু, নিরপক্ষে ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে তাদের যে আর জয়ী হবার কোন সম্ভাবনাই নেই, সেটা আজ জনগণের কাছে তারা নিজেরাই তাদের এই মরিয়া কার্যকলাপে নিশ্চিত করে দিয়েছে। সরকারের সাম্প্রতিক একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগকে অপব্যবহার করে যেভাবে বিগত প্রায় চার সপ্তাহ ধরে দেশব্যাপী অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে এককভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে রেইড করে ও পুরোনো ভুয়ো মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান করে নির্বাচনের অযোগ্য করে দিচ্ছে, তাতে এটা আর লুকোনোর কিছু নেই যে, সরকার এদেশ থেকে বিএনপির উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়।”
মঈন খান আরও বলেন, “বাংলাদেশের আজকের বাস্তবতা হচ্ছে, জনগণ বিএনপিকে অন্তর থেকে গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণ তথা দুর্নীতিপূর্ণ অপশাসনের চিরতরে অবসান চায়।”