ডিম-চিনি-পেঁয়াজ-মাংসের দাম নিয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফাইল ছবি

দেশে নানা সময়ে আলোচনায় এসেছে ডিম, চিনি, পেঁয়াজ ও গরুর মাংসের দাম। সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের পাশাপাশি এসবের দাম কমছে না বলে দাবি করেছেন অনেকে। সরকারের পক্ষ থেকেও অসাদু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে ভোক্তা অধিকার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাধারণ জনগণের হাতের নাগালে রাখতে ডিম ও পেঁয়াজ আমদানি, চিনির শুল্ক হ্রাস করা হয়। তারপরও ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম কমেনি আশানরূপ। অবশেষে গণমাধ্যমের প্রশ্নে এসব বিষয়ে কথা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। যদিও তিনি বলেছেন, সরকার বা সিন্ডিকেট শক্তিশালী নয়, জনগণের সিন্ডিকেট সবচেয়ে শক্তিশালী।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমদানি করলে দেশের মানুষকে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় গরুর মাংস খাওয়ানো সম্ভব। কিন্তু, আমরা সব সময় দেশের খামারিদের কথা ভেবেছি যে, তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। স্থানীয় খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় মাংস আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি আরও বলেছেন, ‘কোরবানির অর্ধেক গরু ভারত থেকে আমদানি করতে হত। কিন্তু, বর্তমানে একটি গরুও আমদানি করতে হয় না, বরং উদ্বৃত্ত থাকে। এ খাতে অনেক নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। অনেকে চাকরি না করে গরুর খামার দিচ্ছেন। দেশের খামারিদের কথা বিবেচনায় আপাতত আমরা মাংস আমদানি করতে চাই না।’

ডিম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় যখন আমদানির অনুমতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তখন ডিমের দাম কমে গেলে। মাত্র ৬২ হাজার ডিম আমদানির পর প্রতি ডজনে আরও ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে গেল। আলুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এর মানে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুদ আছে।’

চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে। আমরা চাইলেও সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আমরা যেটা পারি সেটি হলো শুল্ক কমাতে। যেমন–চিনি দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দামে কোনো প্রভাব পড়েনি, বরং বেড়েছে। ফলে এর সুফল ভোক্তা পায়নি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা তার চেয়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি থাকে। যেটা আমরা ভারত থেকে আমদানি করে থাকি।’

রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসিতে আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ হয়।  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির যৌথ উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেখানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।