রামপালে নাশকতার মামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
বাগেরহাটের রামপালে বাসে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় বিএনপির এই ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

বাগেরহাটের রামপালে বাসে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে মামলা করার পরই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

মামলাটি করেছেন খুলনার রূপসা উপজেলার সাইফুল ইসলাম।

বাগেরহাটের রামপাল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর রাত ৯টায় রামপাল উপজেলার মোংলা-খুলনা মহাসড়কের ফয়লা এলাকার বাবুল কাজীর রাইস মিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রামপাল থানায় গতকাল রাতে মামলা হয়। এর পরই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলার কাপাসডাঙ্গা গ্রামের গাজী মুজিবর রহমান (৬৮), তালবুনিয়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখ (৩০), শ্রীরম্ভা গ্রামের মো. হেমায়েত শেখ (৪৫), একই গ্রামের মো. মোস্তফা মুন্সী (৫৫), কুমলাই গ্রামের আল মুসাব্বির ওরফে সাব্বির (২২), হোগলডাঙ্গা গ্রামের মো. আল মিরান (২৩), সোনাতুনিয়া গ্রামের মো. তরিকুল ইসলাম শিমুল (৩০), কাপাসডাঙ্গা গ্রামের মো. এসকেন্দার শেখ (৩৮), দলদাহ গ্রামের মাহাতাব মোড়ল (৬৫) ও সন্তোষপুর গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ শেখ (৩৭)।

মামলার এজাহারে বাদী সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৯টায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন করা ঢাকা মেট্রো জ-১১-১১০৬ নম্বরের দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পেট্রল ঢেলে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এতে তাঁর তিন লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে কতিপয় দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনেই বাস পুড়েছে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের না করে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে একটি মহলের প্ররোচনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। একের পর এক কথিত নাশকতার অভিযোগে মামলা করায় প্রমাণিত হয় সরকার বিরোধী দল দমনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত ও গ্রেপ্তার করা নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। 

রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিক মামলা করার পর গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আজ দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারেও জোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।