সিলেটে দুটি কূপের তিন স্তরে গ্যাস ও একটিতে তেলের সন্ধান

Looks like you've blocked notifications!
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন। ছবি : এনটিভি

সিলেটের জৈন্তা-গোয়াইনঘাটের ১০ নম্বর কূপের চারটি স্তরে নতুন করে তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ কূপের তিনটি স্তরে ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের পাশাপাশি অপর একটি স্তরে তেল রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, নতুন করে সন্ধান পাওয়া গ্যাসের মূল্যমান আট হাজার পাঁচশ কোটি টাকা।

তেল ও গ্যাসের বিষয়ে নসরুল হামিদ জানান, সিলেট-১০নং কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং এর ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে পরীক্ষা করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া যায় যেখানে ৮ ডিসেম্বর তারিখে পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি জানা যায়, যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উত্তোলন করা হলে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর সাসটেইন করবে এবং গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উত্তোলন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সাসটেইন করবে।