ভক্তের উপহারের জমিতে

নকুল কুমারের বাড়ি নির্মাণ উদ্বোধন কাদের সিদ্দিকীর

Looks like you've blocked notifications!
বরিশালে কৃষকের উঠোনে ডিম ভাজি আর ছোট মাছের তরকারি দিয়ে খাচ্ছেন কাদের সিদ্দিকী। ছবি : এনটিভি

ভক্তের উপহার দেওয়া জমিতে ঘর বানাচ্ছেন কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস। তিনি বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সেই বাড়ির ভিত্তি স্থাপন করলেন দলটির সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী।

নতুন বাড়ির ভিত্তি স্থাপন করতে গিয়ে কৃষকের উঠোনে ডিম ভাজি, ডাল আর ছোট মাছের তরকারি দিয়ে দুপুরে খেলেন কাদের সিদ্দিকী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের মূলপাইন গ্রামের বাসিন্দা অবসরে আসা প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু সিকদার ২১ শতাংশ জমি দান করেছেন কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসকে। সেই বাড়িতেই উঠছে নকুল কুমার বিশ্বাসের নতুন ঘর।

নকুল কুমার বিশ্বাস জানান, তাঁর পূর্ব পুরুষের বাড়ি ছিল যশোর। সেখান থেকে তারা উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি এলাকায় এসেছিলেন। পরে এখান থেকে মাদারীপুর গিয়ে বাড়ি করেছেন। তাই পূর্ব পুরুষের এলাকা বরিশাল-২ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে নির্বাচন করবেন তিনি।

নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, গতকাল রোববার প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসেছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। বেলা ১১টায় তিনি উজিরপুর এসে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য হরনাথ বাইনের বাসভবনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁর স্মৃতিচারণা করেন। পরে বঙ্গবীর হারতা ইউনিয়নের কুচিয়ারপাড় গ্রামে এক দরিদ্র কৃষকের বাড়ির উঠোনে পাটি বিছিয়ে দুপুরের খাবার খান। খাবারে তিনি ডিম ভাজি, ছোট মাছ, আলুর তরকারি ও সাদাভাত খেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা সবাই পাটিতে বসে খাবার খেয়েছেন তৃপ্তিভরে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বঙ্গবীরের পাটিতে খাবার খাওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করছে সবাই।

নকুল কুমার বলেন, উজিরপুর উপজেলার বড়া কোঠা, ওটরা, হারতা, সাতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বঙ্গবীর। বিকেল ৪টার দিকে তিনি উজিরপুর থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের যুব কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাবিবুর নবী সোহেল, কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসের সহধর্মিণী গৌরী রানী বিশ্বাসসহ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতারা ছিলেন।