স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে গণশুনানি

Looks like you've blocked notifications!
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে গণশুনানি। ছবি : এনটিভি

জামালপুরে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে এই গণশুনানির আয়োজন করে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জামালপুর।

সনাক সভাপতি অজয় কুমার পালের সভাপতিত্বে সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুহা. মাহফুজুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সনাক সহসভাপতি শামীমা খান, সদস্য এ কে এম আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, শুভ্র মেহেদী প্রমুখ বক্তব্য দেন। গণশুনানিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পারুল বেগম, জাবের ইসলাম, শিমলা আক্তার, খন্দকার রাজু আহমেদ ফুয়াদসহ অনেকেই তাদের হয়রানি ও ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, চিকিৎসকরা অনেক অবহেলা ও দুর্ব্যবহার করেন। চিকিৎসকরা নির্ধারিত সময়ের আগেই চেম্বার ত্যাগ করেন, নির্ধারিত সময়ে অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন না। অপরিচ্ছন্ন বাথরুম, নিয়মিত বর্জ্র অপসারণ না করায় হাসপাতালের আবর্জনা দুর্গন্ধ ছড়ায়। হাসপাতালে কর্তব্যরতদের সামনেই দাললরা রোগীদের হয়রানি ও অর্থ দাবি করে।

এসব নানান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০০ শয্যার অবকাঠামো ও জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিচালন করতে হচ্ছে। কিন্তু এই জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই পাঁচ শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবাবিঘ্নিত হচ্ছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান ও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গণশুনানিতে ভুক্তভোগী রোগী, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ইয়েস গ্রুপের সদস্য এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।