ভ্রাম্যমাণ হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট!

Looks like you've blocked notifications!

বিনোদনপ্রেমীদের আকৃষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ এই হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টটি। এই প্রথম আধুনিকতা আর নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে পটুয়াখালী শহরের ভ্রমণপ্রসিদ্ধ ঝাউতলায় লাল ফিতা ও কেক কেটে এ রেস্টুরেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান এবং পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ।

বিজয় দিবসের দিনে ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনকালে অতিথিদ্বয় বলেন, পটুয়াখালীর মানুষদের আমরা সব সময় নতুন ও ভাল কিছু উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ব্যতিক্রম একটি রেস্টুরেন্টের শুভ সূচনা হলো। এমন রেস্টুরেন্টের খাবার মান হতে হবে রুচিসম্পন্ন। আর প্রতিটি জেলায় পটুয়াখালীর এ আকর্ষণীয় অভিনব হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টের শোডাউন করা হবে পর্যায়ক্রমে।

জানা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের কাজীরহাট গ্রামের আরিফুল ইসলাম, আল-আমিন ও মেহেদী হাসান নামে তিন যুবক নিজ উদ্যোগে হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টটি নির্মাণ করেছে। এরা তিনজনেই ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী। তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টটি নির্মাণ করেছেন। এর ভিতরে রয়েছে আধুনিক ডেকোরেশন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত হেলিকপ্টারটিতে মূল হেলিকপ্টারের আদলে বাহ্যিক ইকুইপমেন্টস রয়েছে।

হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টের অন্যতম কারিগর মেহেদী হাসান জানান, সম্পূর্ণ স্টিল পাতের তৈরি হেলিকপ্টারের বাইরের অংশে রয়েছে তিন পাখার বড় চড়কা। যেটি কিনা রেস্টুরেন্ট চলাকালীন সময়ে ঘুরতে থাকে। ভিতরে বসার ২১টি চেয়ার খুবই আরামদায়ক। নয় মাস ধরে এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ৩৭০ পদের খাবার তৈরির জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। মূলত এখানে বাংলা ও মিনি চাইনিজসহ সব ধরনের খাবার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

উদ্বোধনের পর বিকেল থেকে রাত অবধি হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টটি এক নজর দেখার জন্য প্রচুর উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় ঝাউতলা বালুর মাঠে।

সাবিনা ইয়াসমিন নামে একজন উৎসুক নারী তার দুই সন্তান নিয়ে এসেছিলেন হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট দেখতে। এসে তারা ছবি তুলে খুব খুশি হয়েছেন।

আরেক ভ্রমণকারী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ভিতরে আসন খালি পাওয়ার জন্য বিকেল থেকে এক ঘণ্টার অধিক সময় লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবুও দীর্ঘ অপেক্ষার পর হেলিকপ্টারের ভিতরে বসতে পেরে আমার সন্তানরা খুবই খুশি।