নয় মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় পৃথক নয়টি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মির্জা ফখরুলের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন। রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর রিট করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ১০টি মামলার মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন। আজ আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিএমএম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ১০টি মামলা। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার না দেখানোর কারণে তাঁর জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়েই রিটটি করা হয়। তবে এর মধ্যে পল্টন থানার একটি মামলায় গতকাল মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোয় ৯ মামলার ক্ষেত্রে জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে তা নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’ এছাড়াও গতকাল একটি মামলার জামিন শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। এর আগে ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। ২ নভেম্বর একই আদালতে আবেদন দাখিল করেন তিনি।