বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মারুফা আক্তার পপিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত মারুফা আক্তার পপির অব্যাহতির একটি চিঠি আজ সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই চিঠিতে দেখা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার) মারুফ আক্তার পপিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ নভেম্বর জামালপুর শহরের মির্জা আজম অডিটরিয়ামে জামালপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভা চলাকালে অডিটরিয়ামে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে কর্মীদের সারিতে বসেন মারুফা আক্তার পপি। তাঁকে বার বার মঞ্চে এসে বসার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কর্মীদের সারিতেই বসে থাকেন। পরে সকলের অনুরোধে মঞ্চে এসে মির্জা আজম এমপির পাশের চেয়ারে আসন গ্রহণ করেন পপি। মঞ্চে বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ মারুফা আক্তার পপি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ চাইতে থাকেন। এ সময় মির্জা আজম এমপি মারুফা আক্তার পপিকে বারবার চেয়ারে বসতে বলেন। মির্জা আজম এমপি ছোট বোন বিবেচনায় পপিকে একটু উচ্চস্বরে বসতে বলায় পপি উচ্চস্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এক পর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মারুফা আক্তার পপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মির্জা আজম এমপি ও তাঁর প্রয়াত বাবা এবং পরিবার নিয়ে অসত্য, করুচিপূর্ণ, অশালীন বক্তব্য ভাইরাল করেন। এতে জামালপুর আওয়ামী পরিবারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বকুলতলাস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মারুফা আক্তার পপির কাছে ৭ কার্যদিবস সময় দিয়ে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়।

মারুফা আক্তার পপি নোটিশের কোন জবাব না দেওয়ায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বিধায় গঠনতন্ত্রের ৪৭ অনুচ্ছেদের ০৯ ধারায় বর্ণিত বিধান মতে মারুফ আক্তার পপিকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মারুফ আক্তার পপি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন চিঠি পাইনি। আর এই চিঠি নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথাও নেই। আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এগুলো অবান্তর বিষয়, অবান্তর প্রশ্ন।

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর মারুফা আক্তার পপিকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।