অতিউৎসাহী হয়ে কেউ কেন্দ্রে সিল মারতে যাবেন না : পাপন

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছবি : এনটিভি

সাবধান, কেউ অতিউৎসাহী হয়ে কেন্দ্রে সিল মারতে যাবেন না। নির্বাচনে বাধা দিতে এলে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের উদারতায় বারবার পার পেয়ে যাবেন, তা আর হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগের এক কর্মী সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিসিবি সভাপতি পাপন।

বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশীয় বিরোধী শক্তি ও তাদের বিদেশের দোসরদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর দেওয়া হবে না। এবার আমরাও মাঠে আছি, তাদের প্রতিরোধ করতে।

স্থানীয় সরকারি কাদির বকশ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় পাপন আরও বলেন, বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পন্থা নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হয়। কিন্তু না, বিএনপিসহ তাদের দোসররা নির্বাচন নয়-দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তারা জ্বালাও-পোড়াও করে, মানুষ হত্যা করে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাই তারা এই দেশের কিছু সমমনা এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতাকারী তাদের বিদেশি দোসরদের সঙ্গে মিলে তত্ত্বাধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে থাকে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেন-তেন প্রধানমন্ত্রী নন-তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা উল্লেখ করে পাপন বলেন, তিনি সহজে মাথা নোয়াবার ব্যক্তি নন। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, এই সকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং ফ্রি ও ফেয়ার নির্বাচন হবে। তাঁর এই সিদ্ধান্তে দেশের জনগণ সাড়া দিয়েছে।

এই সময় পাপন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, এবারের নির্বাচন একটি ব্যতিক্রমি নির্বাচন। যেহেতু মাঠে শক্ত কোনো বিরোধীপক্ষ নেই, তাই ‘নৌকা তো পাস করবেই’-এই মনোভাব নিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। কেন্দ্রে গিয়ে যার যার ভোট দিতে হবে এবং অন্যদের ভোট কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করতে হবে।

এই সময় অতিউৎসাহি কর্মীদের উদ্দেশ করে  পাপন বলেন, সাবধান-কেউ অতিউৎসাহী হয়ে সিল মারতে যাবেন না। কেউ এই কাজ করতে গেলে তাকে আপনারা বাধা দেবেন। কারণ, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশের মানুষদের কাছে সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটি যেন নস্যাৎ না হয়।

সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সাবেক একান্ত সচিব সাখাওয়াত হোসেন সাকু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ প্রমুখ।