মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
এসকেন্দার খান। ফাইল ছবি  

মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর সমর্থক এসকেন্দার খানকে (৫৫) নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা হাতুড়িপেটা ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন ভোরে এসকেন্দার আলী খান ফজর নামাজ শেষে স্থানীয় সূর্যমনি বাজারে যাওয়ার পথে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তাকে হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নিহত এসকেন্দার আলী খানের ছেলে মিলন খান বলেন, ‘আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার বাবা তাহমিনা সিদ্দিকীর পক্ষে ঈগল মার্কার সমর্থক ছিলেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈগল মার্কার শান্তিপূর্ণ মিছিলে বোমা হামলা করে ১০ জনকে আহত করেন নৌকার সমর্থকরা। ওই ঘটনায় প্রশাসন কঠিন ব্যবস্থা নিলে আজ পুনরায় ঈগলের সমর্থক এসকেন্দার খানকে এভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটত না।’

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মারগুর তৌহিদ বলেন, ‘খবর পেয়েছি, ওই ব্যক্তি বরিশাল হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর ঈগল প্রতীকের মিছিলে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা বোমা ও ককটেল হামলা চালান বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঈগলের সমর্থক ও পথচারীসহ ১০ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় কালকিনি থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর হক ব্যাপারীকে প্রধান আসামি করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতানামা আসামি করে এ মামলা করা হয়।