সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে আ.লীগকে বেরিয়ে আসার আহ্বান মঈন খানের
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, এখনও সময় আছে, ৭ তারিখ অনেক দূরে। আপনারা ভাবুন, আলোচনায় বসুন, চিন্তা করুন, সংলাপ করুন। সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে মঈন খান এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আমি অত্যন্ত আহত হৃদয় নিয়ে এখানে এসেছি। আমি বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বিএনপি সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ সাংবাদিককে বিশ্বাস করি না। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার এই বিভাজন তৈরি করেছে। এই সরকার তাদের ক্ষমতা দীর্ঘ করার জন্য বা চিরস্থায়ী করার জন্য জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছু হতে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকের যে পরিবেশ পরিস্থিতি সেখানে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। কোনো আধুনিক সমাজ এভাবে বসবাস করতে পারে। ১৭৭১ সাল থেকে আজকে আড়াইশো বছর পেরিয়ে গিয়ে আজকের সরকার কি মানব সভ্যতার পেছনের দিকে হাঁটছে? যেখানে ১৭৭১ সালে সংবাদপত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ভূমিকা ব্রিটিশ সরকার নিশ্চিত করেছিল। সেখানে আজকে আমরা সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরে আছে। তাদেরকে এই সরকার বলছে, তোমরা কথা বলতে পারবে না।
বিএফইউজের নির্বাচনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা প্রসঙ্গে মঈন বলেন, আমরা সারা দেশে একটি তামাশার নির্বাচন বর্জন করেছি, কিন্তু নির্বাচন বর্জন করিনি। আমরা জানি, আজকের পরিবেশ পরিস্থিতি অত্যন্ত দুরুহ। তারপরও আমরা জানি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আজকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছে এজন্য তারা প্রশংসা পাবে এবং আজকে আমরা সরকারের চোখে এটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব আপনারা যেভাবে বানরের পিঠা বেচার নির্বাচনের আয়োজন করেছেন, নির্বাচনের আগেই সব সিটের ফলাফল ইতোমধ্যে নির্ধারণ করে ফেলেছেন। এখনও সময় আছে এই অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন এতে করে সুনাম আওয়ামী লীগেরই হবে।’
নিজেকে বোকা রাজনীতিবিদ জানিয়ে মঈন খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হিংসা সংঘাত এবং সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি আপনারা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। বিভাজনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে আপনারা সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ।