ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে খুন হন আ.লীগনেতা : পুলিশ

Looks like you've blocked notifications!
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফা কামাল মুন্সি। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগনেতা মো. মোস্তফা মিয়াকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তিতাস উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের মো. নাজিম উদ্দীন (৩৯) ও রুমন ব্যাপারী ওরফে সুমন।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে মোস্তফাকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে তিতাস থানায় মামলাটি করেন।

নিহত মোস্তফা কামাল তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। 

আব্দুল মান্নান বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার মোস্তফা ও এজাহারভুক্ত আসামি সাইদুল, নাজিম উদ্দিন ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে মোস্তফার সঙ্গে ওই তিনজনের কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এ নিয়ে ওই তিনজন মোস্তফার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

জেলা পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলছিল। এ সময় সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মোস্তফাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। গত ৩০ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নাজিম ও পরে রুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে। আসামি সাইদুলের নামে ছয়টি, রুমন বেপারী সুমনের নামে ১০টি, মাইন উদ্দীনের নামে ৯টি ও নিহত মোস্তফার সাতটি মামলা রয়েছে।