নৌকায় ভোট দিলে যত খাবার লাগুক আমি দেব : শেখ হাসিনা

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনি সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এই নৌকা মার্কা। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন হয়। নৌকায় ভোট দিলে বাংলাদেশের মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে না। যতো খাবার লাগুক আমি দেব।

ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৮ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়।

এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়ার পর বক্তব্য শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। তবে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে উপস্থিত হলে। বক্তব্যের শেষে ফরিদপুর ও রাজবাড়ি জেলার নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। তরুণ সমাজ নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলবে। শিক্ষা কারিকুলামও আমরা সেইভাবে সাজিয়েছি। ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি’ এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই। এই বাংলার জনগণের মাঝে আমি আমার হারানো বাবার স্নেহ খুঁজে পাই, ভালোবাসা খুঁজে পাই।”

নির্বাচনি জনসভাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। ফরিদপুরের বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নেতাকর্মীরা মিছিল করে এই সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন রঙের টিশার্ট, টুপি পরে মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। ব্যানার, পোস্টার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে তারা মিছিল করছেন। কাঠ ও কাগজের বিভিন্ন ধরনের নৌকা মিছিলে এসেছেন। বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ঢোল, বাঁশিসহ নানা ধরনের বাদ্যের সঙ্গে তারা নেচে স্লোগান দিচ্ছেন। সমাবেশ পরিচালনা করছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শা মো. ইশতিয়াক আরিফ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে সড়কপথে ফরিদপুরে আসেন। দুপুরে ফরিদপুর পৌঁছে তিনি সার্কিট হাউসে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। বিকেল ৩টার দিকে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে সভাস্থলে আসেন। জনসভা শেষ করে সড়কপথে তিনি ঢাকায় রওনা দেন।