সরকারকে ‘গণ-অনাস্থা’ জানানোর আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের

Looks like you've blocked notifications!
গণতন্ত্র মঞ্চ আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের সমাবেশে বক্তব্য দেন নেতারা। ছবি : এনটিভি

ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে সরকারের প্রতি ‘গণ-অনাস্থা’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের এক সমাবেশে মঞ্চের নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা ভোটারদের বলতে চাই—আগামীকাল আপনারাদের যে ভোট বর্জন ও আপনাদের যে এই নির্বাচন প্রত্যাখান-বর্জনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা আপনারা ব্যক্ত করবেন।

সাইফুল হক বলেন, আগামীকাল ভোটকেন্দ্রে যাওয়া মানে এই দুর্বৃত্ত শাসনকে দীর্ঘায়িত করা, এই চোর, এই লুটপাটকারী, খুনি-মাফিয়া-সন্ত্রাসী ওদের অবৈধ-দখলদারিত্বকে আরও সেখানে দীর্ঘায়িত করার সহযোগী হওয়া। কোনো সচেতন মানুষ দুর্বৃত্তদের এই খেলাতে অংশ নিতে পারে না। আগামীকাল ভোটকে প্রত্যাখ্যান-বর্জন করে এই সরকারের প্রতি আপনারা আরেকবার অনাস্থা ব্যক্ত করবেন, লাল কার্ড দেখানোর মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায়কে আপনারা নিশ্চিত করবেন।

একইসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাইফুল হক বলেন, আপনারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মতো করে এই ভোট ডাকাত এই ভোট চোর সরকারের ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করবার জন্যে, দীর্ঘায়িত করবার জন্যে কোনোভাবে এদের সহযোগী হবেন না। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বলতে চাই, বিবেকের দংশন থেকে এই অবৈধ ভোট ডাকাতির ভাগাভাগি যে নির্বাচন, ডামি নির্বাচন এই তৎপরতার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করুন।

ভোট বর্জনের দাবি বেলা ১২টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চ বিজয়নগর, পল্টন মোড় সড়ক, তোপথানা এলাকায় মিছিল করে। এরপর তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।

সাইফুল হক বলেন, একেকটা ভোট নাকি এক থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও নাকি দেড় হাজার, তিন হাজার, পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে দশ হাজার টাকায় একেকটা ভোটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে তারা টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবহার করে বাড়িবাড়ি গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা হুমকি দিচ্ছে, পুলিশ হুমকি দিচ্ছে…তারা ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য একটা পরোয়ানা জারি করে দিয়েছে, তারা ভোট কেন্দ্রে আসবে না। তাদের নাকি দেখে নেওয়া হবে। এর নাম কি ভোট? এর নাম কি গণতন্ত্র?

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রিতম দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন   গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারি পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু ও নাগরিক ঐক্যের মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।