দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিতে কাজ করব : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নানাবিধ বৈশ্বিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণকে বাসযোগ্য পরিবেশ ও উন্নত জীবন দিতে কাজ করব। নবনিযুক্ত পরিবেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়তে কাজ করবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পরিবেশমন্ত্রী।
খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ২০২৩ সালের জুন মাসে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত হন এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশ ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী প্রথম ১৯৯৯ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে (বন্দরের দায়িত্বে) এবং তারপরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে (এলজিইডির দায়িত্বে) উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন।
প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে, তিনি ২০১৪-২০১৭ সাল পর্যন্ত জেনেভা ভিত্তিক ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ২৮ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইপিইউ-এর বর্তমান সদস্যপদ ১৭৯টি জাতীয় সংসদ নিয়ে গঠিত, যেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি সংসদ সদস্য রয়েছে যারা সারা বিশ্বে ৬.৫ বিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, আইপিইউ হলো বিশ্বব্যাপী জাতীয় সংসদের সংগঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংসদীয় সংলাপ এবং শক্তিশালী সংসদ ও গণতন্ত্র গড়ে তোলার কেন্দ্রবিন্দু।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে, তিনি সংসদ, সরকার, রাজনৈতিক দল এবং ক্রীড়া প্রশাসনে বিভিন্ন ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সম্পাদক ছিলেন।
১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে তিনি সফলভাবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্যে (টেস্ট মর্যাদা) উন্নীত করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হয় এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তার সেবার জন্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে এমসিসির সম্মানসূচক আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের একজন স্নাতক এবং বারে প্রবেশের জন্য একাডেমিক পর্যায় শেষ করে ইউনাইটেড কিংডমের ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে যৌথ সম্মান ডিগ্রির পাশাপাশি আইনে ডিপ্লোমা ধারণ করেছেন।