ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে নতুন বছরের প্রথম সভা আজ বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : এনটিভি

ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী  মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে নতুন বছরের প্রথম সভা আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে মন্ত্রী ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থলগুলো চিহ্নিত করে লার্ভা ধ্বংস করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি বসতবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে, সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নিচে কিংবা বাসার ভিতর জমা পানি প্রতি তিনদিনে একবার পরিষ্কার করার ওপর জোর দেন। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে, সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সভায় এ বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি এ সময় সারা দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলেন। তিনি জানান, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরায়ণের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গতবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এবছর তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে; যদি আমরা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারি।

মো. তাজুল ইসলাম সভায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানিকৃত কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ওষুধ কার্যকর হয়।

মন্ত্রী এ সময় এ বছরের ডেঙ্গুর গবেষণা ও ডাটা সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ফলাফল সংরক্ষণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য ও এডিসসহ নানা ধরনের মশার বিষয়ে শিক্ষা কারিকুলামে যোগ করা যায় কিনা সে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবেচনার জন্য বলেন।