আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

সৌদি আরবের সঙ্গে হতে যাচ্ছে বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা চুক্তি 

Looks like you've blocked notifications!
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আসিসুল হকের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বৈঠক হয়। ছবি : আইন মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই চুক্তির বিষয়বস্তু সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী। বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তাঁরা উভয়ই একমত পোষণ করেন। 

বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিফিংকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে সংসদ সদস্যদের শপথ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এক প্রশ্নে বলা হয়—সংসদে ৬৪৮ এমপি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়, কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না এবং সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না? এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে ও এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।’

কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনও জানি না। নীতিনির্ধারকেরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।