ড. ইউনূস ইস্যুতে ১২ সিনেটরকে পাল্টা চিঠি ৩ আইনজীবীর

Looks like you've blocked notifications!
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান। ফাইল ছবি

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১২ সিনেটরের পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করতে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী। আইনজীবীদের পাঠানো ওই চিঠিতে চলমান বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে এ ধরনের তাগিদপত্র দেওয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের শামিল, অসৎ উদ্দেশপ্রণোদিত এবং নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইমেইল ও ডাকযোগে সিনেটর রিচার্ড ডারবিন বরাবর চিঠিটি পাঠান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান।

গত ২২ জানুয়ারি রিচার্ড ডারবিনসহ ১২ সিনেটর প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

ওই চিঠির জবাবে তিন আইনজীবী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং পৃথক। নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ বা বিচারিক কার্যক্রমে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এছাড়া চলমান বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিবৃতি বা চিঠি প্রদান ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শ্রম আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে। সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। কাজেই ১২ জন সিনেটরের পাঠানো চিঠির মর্মার্থ অনুযায়ী তারা দুর্বল শ্রমিকদের বিপক্ষে এবং সবল মালিকদের পক্ষ নিয়েছেন, যা আইএলও কনভেনশনের লঙ্ঘন।

আইনজীবীদের পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ চলমান বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে এ ধরনের তাগিদপত্র দেওয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের শামিল, অসৎ উদ্দেশপ্রণোদিত এবং নিন্দনীয়। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া পত্রটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।