উন্নয়নের রোল মডেলের দেশে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে হয় কেন : মঈন খান

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : বিএনপির মিডিয়া সেল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলের দেশে দরিদ্রদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে হয় কেন? আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

ড. মঈন বলেন, ‘সরকার বলছে—বাংলাদেশ না কি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ হয়ে থাকে তাহলে সে দেশে আজকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র কেন বিতরণ করতে হচ্ছে? কোথায় সেই উন্নয়ন? কার জন্য সেই উন্নয়ন?’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, শুধু বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ শুধু বলেনি, আওয়ামী লীগের যারা ভোটার ছিল, তারাও এই নির্বাচনে যায়নি। কারণ তারা জানে, এই নির্বাচনে কে নির্বাচিত হবে এবং কে হবে না। তারা জানে, এটা ভোট দিয়ে নির্ধারিত হবে না, এটা নির্ধারিত হয়েছে রাজধানী থেকে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন প্রসঙ্গে মঈন বলেন, আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা রাজপথেই দাঁড়িয়ে থাকব। যতক্ষণ না পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮ কোটির মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনব, ততক্ষণ ঠিক এভাবেই আমরা রাজপথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব। 

আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না উল্লেখ করে ড. মঈন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি। আমরা বাংলাদেশে রাজনীতি করব নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পথে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাকশালে বিশ্বাস করে না। বিএনপির শান্তির রাজনীতি করে, বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেটেবের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।