সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততা সমাজকে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত রোববার জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : পিআইডি

মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততা আমাদের সমাজকে উগ্রবাদ, মৌলবাদ এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।’ গতকাল রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই উৎসবের প্রগতিশীল প্রকৃতি বিভিন্ন কোণ থেকে বৈচিত্র্যময়, বহুসাংস্কৃতিক, প্রগতিশীল প্রতিনিধিদের জড়িত করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষকে আলোকিত করতে অবদান রাখবে। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে।’

চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরাফাত বলেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য  সমৃদ্ধি ও সহায়ক পরিবেশের বিকাশে অবদান রেখেছে। এ ছাড়া এই উৎসবটি চলচ্চিত্র শিল্পে কুসংস্কার ও ক্ষতিকারক ব্যবসায়িক অনুশীলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেও কাজ করেছে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এই চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে।’

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি, কিংবদন্তি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী শর্মিলা ঠাকুর ও ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক অঞ্জন দত্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে ২০ থেকে ২৮ জানুয়ারি ‘বেটার ফিল্ম, বেটার অডিয়েন্স, বেটার সোসাইটি’ থিম নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসব চলাকালে নগরীর অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ৭৪টি দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।