টিআইর অপবাদকে সরকার পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে টিআইর প্রতিবেদন রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে করা এসব অপবাদকে সরকার পরোয়া করে না। 

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ঠিক রাখতে পাহারায় যাবে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় বসে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাজে মনোনিবেশ দিচ্ছি। মন্ত্রণালয়গুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। কাজ করতে গিয়ে জনস্বার্থবিরোধী কর্মসূচি সহ্য ও বরদাশত করা হবে না। দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’ 

বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ বিবৃতি নিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই বিবৃতি দিয়েছে তারা ভুল রিপোর্ট, তথ্যের ওপর এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হিসেবে দশ হাজারের বেশি বন্দি জেলে নেই। কোন হিসেবে ২৫ হাজার বন্দি আছে? অপরাধ করলে বিচার করতে হবে। জামিনযোগ্য অপরাধ হলে জামিন পাচ্ছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। জাতিসংঘ ও কংগ্রেসম্যানরা বিবৃতি দিয়েছেন, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করছি।’

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারি দল বলে কি নিয়ম মানব না?’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও এখন নেই। যারা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, নতুন সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেননি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু  ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বিশ্ব পরিস্থিতিতে পৃথিবীর অর্থনীতির ওপর চরম আঘাত এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিশ্ব সংকটের প্রতিক্রিয়ায় আমরা সমস্যা সংকুল দিন অতিক্রম করছি। দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে নতুন সংসদ কঠিন দায়িত্ব পালন করবে। জনগণের সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দেবে।’

মন্ত্রিসভার কলেবর বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও কিছু যুক্ত হতে পারেন।