কলেজ শিক্ষক পিটিয়ে হত্যা মামলায় ভাই-ভাতিজাসহ গ্রেপ্তার ৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি মূল পরিকল্পনাকারী তাঁর আপন দুই ভাই ও দুই ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১-এর সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার র্যাব ১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানির পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের বড় ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬০) ও ছোট ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) এবং মজিবুরের দুই ছেলে মো. সুমন (২৮) ও মো. সিজান (২০)।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের মেজো ছেলে রেজা সাঈদ আল মামুন (৫৫) গত রোববার বিকেলে বাড়ির পাশের জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি স্থানীয় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এ ঘটনায় তা্ঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় তাঁর (রেজা সাঈদ আল মামুনের) বড় ভাই মোহাম্মদ আলীকে হুকুমের আসামি এবং ছোট ভাই মজিবুরকে মূল পরিকল্পনাকারী আর তাঁর (মজিবুরের) দুই ছেলেকে আসামি করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, কলেজ শিক্ষক রেজা হত্যার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র্যাব সদস্যরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার হুকুমদাতা আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন জয়ের টেক এলাকার হাসেম খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার মূল পরিকল্পনাকারী মো. মজিবর (৫০) এবং তাঁর দুই ছেলে মো. সুমন (২৮) ও মো. সিজানকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিহত কলেজ শিক্ষক রেজা সাঈদ আল মামুনের সঙ্গে তাঁদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।