বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা গণতন্ত্র মঞ্চের

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সভায় নেতৃবৃন্দ। ছবি : এনটিভি

বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সঙ্গে সীমান্ত হত্যার নিন্দা করতে ও জবাবদিহিতা চাইতেও ব্যর্থ হয়েছে নতজানু সরকার, এমন অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় এসব আলোচনা হয়।

মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পরে গতকাল ৩০ জানুয়ারি যে ডামি সংসদ অধিবেশন বসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার হরণ করার সংসদ। সাংবিধানিকভাবে অবৈধ নির্বাচন ও সরকারের কার্যভার গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে স্থায়ী সংকটের মধ্যে ফেলছে। ডামি নির্বাচন ও ডামি সংসদের প্রতিবাদে যখন বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ মিছিল করেছে, এক অজানা আশঙ্কায় রাষ্ট্রের দিকে থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে। গতকাল গণতন্ত্রমঞ্চ, বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মূচিতে হামলা করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে এবং কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলেন, সরকারের দুর্নীতি লুটপাটে ব্যাংকগুলো খালি ও নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছে। এখন টাকা ছাপিয়ে সংকট উত্তরণের জন্য ব্যাংকে সরবরাহ করা হচ্ছে যা নতুন করে লুটের আয়োজন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের দাপটে নিত্যপণ্য ও খাদ্য সামগ্রীর মূল্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত এখন দুনিয়ার অন্যতম প্রাণঘাতী সীমান্তে পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩১ বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ। এমনকি বিজিবি সদস্যকেও হত্যা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সীমান্তের ওপারে। এ ঘটনার নিন্দা করতে ও জবাবদিহিতা চাইতেও ব্যর্থ হয়েছে নতজানু সরকার। অগণতান্ত্রিক ও ভোটবিহীন সরকার সীমান্তে মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

গণতন্ত্রমঞ্চের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া প্রমুখ।