জেল-মামলা দিয়ে বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে রাখতে পারবেন না : ফারুক

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, জেল-জুলুম দিয়ে, মামলা দিয়ে বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে রাখতে পারবেন না। আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটবিহীন সরকারকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।  

আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।

সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনারা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরেছেন, আপনারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটবিহীন নির্বাচন করেছেন, নিজেই ভাইয়ে ভাইয়ে ডামি নির্বাচন। নির্বাচনের আগেও অনেক হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন, এখন আবারও হুমকি দিচ্ছেন। আন্দোলনে দাবি যতদিন না প্রতিষ্ঠা হবে, যতদিন না বাংলাদেশে আমার ভোট আমি দেব, ততদিন পর্যন্ত এই সংগ্রাম বিএনপিসহ সমমনা দলের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। জেল-জুলুম দিয়ে, মামলা দিয়ে আপনি বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে রাখতে পারবেন না। ইনশাল্লাহ আন্দোলন কত প্রকার কী কী, তা এই ভোটবিহীন সরকারকে দেখিয়ে দেওয়া হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওবায়দুর কাদের সাহেব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আপনারা টিআইবিকে বলেন বিএনপির দালাল। আমার মনে হয়, দুদিন পরে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাককে দালাল বলা শুরু করবেন। কারণ যারা আপনাদের বিরোধিতা করে, তারাই আপনাদের শত্রু। আপনারা নিজেদের মনে করেন গণতন্ত্রের লোক, নিজেদেরকে মনে করেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক। কিন্তু সেই কাজটি আপনারা করেন না। আপনারা এখন রাষ্ট্রীয় যন্ত্র দিয়ে আমাদেরকে সাময়িক দাবিয়ে রাখবেন। ইনশাআল্লাহ, পৃথিবীর ইতিহাস কথা বলে, স্বৈরাচার কোনোদিনও পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারে না। যারা বিএনপিকে বলেন, হতাশ হয়েছে, যারা বিএনপিকে বলেন, সাংগঠনিক শক্তি নেই। তাদেরকে বলি, শুধু একদিনের জন্য পুলিশকে নিরপেক্ষ রেখে মাঠে আসেন কে জিতে কে হারে একটু দেখি। বিজয় জনগণের হবেই হবে।’

মানববন্ধনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, ‘কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৪১ হাজার। বর্তমান কারাগারে বন্দির সংখ্যা লক্ষাধিকের বেশি। কারাগারকে তারা আজ অন্ধকার করে ফেলছে। আমরা আজকে গণতন্ত্রকামী জনগণকে একটা আহ্বান জানাতে চাই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরর মতো ব্যক্তি, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, জহির উদ্দিন স্বপন তারা কি অপরাধী, সন্ত্রাসী, ব্যাংক লুটেরা, অর্থপাচারকারী, ঋণখেলাপী? না, তারা রাজনীতিবিদ। অনেকে সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী। এখনও যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তারাই জনগণের ভোটে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন। পুলিশ ভাইদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। আপনারা মানুষের প্রতি অবিচার করবেন না। অনতিবিলম্বে সব রাজবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদে তালুকদারের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ সোহেল রানার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কৃষক দলের ভিপি ইবরাহিম ও তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।