ধর্ষণকাণ্ডে জাবি’র নেওয়া পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ইউজিসির কমিটি

Looks like you've blocked notifications!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ইউএনবির ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া পদক্ষেপ ও সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করতে তিন সদস্যেরে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। কমিটির সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।

গতকাল বুধবার এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কমিটি গঠনের কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যারবিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির আয়োজন করে ইউজিসি। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

আরও পড়ুন : জাবি ছাত্রলীগনেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজন রিমান্ডে

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগগুলো নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ নিতে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেল গঠন করবে। এখানে দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ড বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগনেতার বিরুদ্ধে

অধ্যাপক আলমগীর আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হলেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।’ তিনি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিসহ যেকোনো অপরাধের ঘটনা দ্রুত আমলে নেওয়া, এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা, ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

ইউজিসির উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।